গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের সেরা ন্যাচারাল পুষ্টিকর খাবার জাফরান মাদার মিক্স।
এই খাবারটি গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের রক্ত শূন্যতা দূর করে মা ও অনাগত সন্তানের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অনাগত সন্তানের ব্রেন ডেভেলপ করে।
কেন জাফরান মাদার মিক্স খাবেন?
একাধিক গাইনি বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শে গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য স্পেশালভাবে তৈরি করা হয়েছে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম এবং হেলদি ফ্যাটের অন্যতম প্রধান উৎস জাফরান মাদার মিক্স।
উপাদান সমূহ
কাজুবাদাম
কাঠবাদাম
পেস্তা বাদাম
আখরোট
চিনা বাদাম
তাল মিছরি
জাফরান
পামকিন বীজ
পামকিন বীজ
সূর্যমুখীর বীজ
খুরমা খেজুর
জাফরান মাদার মিক্সের উপকারিতা।
- গর্ভবতী মায়ের শারীরিক দুর্বলতা দূর করে শক্তি ও স্টেমিনা বাড়ায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গর্ভকালীন সময়ে মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- গর্ভকালীন সময়ে খাওয়ার প্রতি রুস্তি বৃদ্ধি করে এবং বমি বমি ভাব দুর করে।
- গর্ভবতী মায়ের স্বাভাবিক ঘুম ও মানসিক স্বস্তিতে সাহায্য করুন।
- অনাগত সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে।
- মুড ভালো রাখে, মানসিক ভারসাম্য রাখে, মানসিক চাপ কমায়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্ত নালিকে শিথিল করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কোন সময় থেকে কিভাবে খাবেন।
কনসিভ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই জাফরান মাদার মিক্স খাওয়া উচিত। এতে গর্ভবতী মা এবং গর্ভের সন্তান উভয়ই অনেক উপকৃত হবেন।
খাওয়ার নিয়ম-এটি দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।১ কাপ পরিমাণ দুধ দুই থেকে তিন চামচ পাউডার ভালোভাবে মিক্স করে খাবেন। এছাড়াও মিষ্টি জাতীয় খাবার পায়েস, ফিরনি, সেমাই, দই ,মিষ্টি এগুলোর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এছাড়া দুই চামচ এমনিতে নিয়ে খেতে পারেন অথবা হালকা কুসুম গরম এক কাপ পানিতে দুই থেকে তিন চামচ পাউডার নিয়ে মিস করে খেতে পারেন। প্রতিদিন সকাল বিকাল দুই বেলা খাবেন। সকালে নাস্তার পর এবং বিকেল বেলা অথবা সন্ধ্যায় নাস্তার সময় খাবেন।
⚠️ সতর্কতা
- যদি শরীরে এলার্জির পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে এটি খাওয়া যাবেনা।
- যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে মিষ্টি ছাড়া নিতে হবে।
- যদি অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থাকে বা দুধ খেলে গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে দুধের সাথে না খেয়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার অথবা এমনিতেই খেতে হবে অথবা পানি দিয়ে মিক্স করে খেতে হবে। দুধ দিয়ে খাওয়া যাবে না।
- যদি lactose Intolerance থাকে/দুধ জাতীয় খাবার খাওয়ার পর পরই গ্যাস, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া হয় তাহলে আমাদের গুড়া দুধ মিশ্রণ ছাড়াটা নিতে হবে।